Simple Travel Agency Solution

Search
Close this search box.

Simple Travel Agency Solution

Search
Close this search box.

উমরাহ কি এবং কিভাবে উমরাহ পালন করতে হয়?

উমরাহ শব্দটি আরবি, অর্থ পরিদর্শন (জিয়ারত) করা বা নির্মাণ কাজ। ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ নির্দিষ্ট নিয়মে মক্কাস্থিত বায়তুল্লাহ্ শরীফ জিয়ারত করা। একে ছোট হজ্জও বলা হয়।

আল-কুরআন-এ বলা হয়েছে: ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে  হজ্জ ও উমরাহ্ পূর্ণ কর (২ঃ১৯৬)।’ ইমাম শাফীঈ ও ইমাম আহমদ (র.) এ আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, জীবনে অন্তত একবার উমরাহ্ করা সমর্থ মুসলমানদের ওপর ওয়াজিব।

ইমাম আবু হানীফা (র.) ও ইমাম মালিক (র.)-এর মতে তা সুন্নতে মুআক্কাদা  হজ্জযাত্রীর মতো উমরাহ্কারীকেও নিজ পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে যাওয়া আবশ্যক। তাছাড়া যাত্রার সময় নিজের সঙ্গেও প্রয়োজনীয় পাথেয় নেওয়া আবশ্যক।

উমরাহ্র রুকন (অপরিহার্যভাবে করণীয়) সম্পর্কে বিভিন্ন মাযহাব মতে কিছু পার্থক্য আছে।

মালিকী ও হাম্বলী মাযহাব মতে, এর রুকন তিনটি:

  1. ইহরাম বাঁধা (বায়তুল্লাহ্ শরীফে প্রবেশের পূর্বে নির্দিষ্ট মীকাত বা তার সীমায় পৌঁছে নখ, চুল কর্তন করে গোসল করা, চিরুনি করা এবং নতুন অথবা সাদা কাপড় পরিধান করে উমরাহ্র নিয়্যাতে তালবিয়া পাঠ করে ইহরাম বাঁধা);
  2. সাতবার বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ (হাজর-ই-আসওয়াদ থেকে শুরু করে বায়তুল্লাহ্ প্রদক্ষিণ) করা এবং
  3. সাফা ও মারওয়া পর্বতদ্বয়ের মধ্যস্থিত এলাকায় ‘সাঈ’ করা (দ্রুত হাঁটা)। শাফীঈ মাযহাবে উপরিউক্ত তিনটি রুকনের সঙ্গে চুল কাটা ও উল্লিখিত কাজগুলির মধ্যে ধারাক্রম (তারতীব) রক্ষা করাও রুকন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হানাফী মাযহাব মতে, উমরাহ্র রুকন একটি, তা হলো তাওয়াফ করা। অন্যান্য কাজগুলি, যেমন- ইহরাম, সাঈ, মাথামুন্ডন ইত্যাদি বাধ্যতামূলক।

উমরাহ্ হজ্জের সঙ্গেও করা যায়, আবার আলাদাভাবেও করা যায়।

উমরাহ তিনভাবে পালন করা যায়:

  1. উমরাহ্ হজ্জের মাসসমূহ ব্যতীত বছরের যে কোনো সময়ে করা হয়, তবে  রমজান মাসে করা মুস্তাহাব;
  2. হজ্জের সময় হজ্জ ও উমরাহ্ পৃথক পৃথক ইহরামে একসঙ্গে করা যায় এবং
  3. হজ্জের সময় উমরাহ্ ও হজ্জ উভয়ই একই ইহরামে আদায় করা যায়।

উমরাহ ক্ষেত্রে হজ্জের মতোই বিভিন্ন ওয়াজিব সুন্নতসহ বিধিনিষেধ কার্যকর। তবে হজ্জের মতো আরাফা, মুজদালিফায় অবস্থান, পাথর নিক্ষেপ করা, বাধ্যতামূলক কুরবানি দেওয়া উমরাহ্র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। হযরত মুহাম্মদ (স.) সপ্তম হিজরিতে সাহাবীগণসহ উমরাহ্ করেন। তখন থেকে হজ্জের সঙ্গে বা পৃথকভাবে হজ্জের সময় ব্যতীত যে কোনো সময় উমরাহ্ পালনের নিয়ম চলে আসছে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হজ্জের সময় কিংবা তার আগে-পরে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান উমরাহ্ পালন করে থাকেন

Please follow and like us: